এন্টিঅক্সিডেন্টের মাত্র ৩ টি কার্যকারিতাতেই ১০০% ক্যানসার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি!
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এন্টিঅক্সিডেন্টের কার্যকরী প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ন।
এন্টিঅক্সিডেন্ট কি?
✅ এন্টিঅক্সিডেন্ট হলো এমন একটি অণু যা অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে কোষকে রক্ষা করে। অক্সিডেটিভ ক্ষতি হলো একটি প্রক্রিয়া যা কোষের ক্ষতি করতে পারে এবং ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং অন্যান্য রোগের দিকে নিয়ে যায়।
এন্টিঅক্সিডেন্টের আমাদের দেহের ৩ টি কার্যকারিতা
✅ ফ্রি রেডিক্যাল হলো অস্থিতিশীল অণু যা কোষের ক্ষতি করতে পারে। এন্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যালের সাথে বিক্রিয়া করে তাদের নিরপেক্ষ করে এবং কোষের ক্ষতি রোধ করে।
✅ কোষের ঝিল্লিতে অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা অক্সিডেশনের জন্য সংবেদনশীল। এন্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ঝিল্লিকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
✅ DNA কোষের জ্বিনগত উপাদান। এন্টিঅক্সিডেন্ট DNA কে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহে কি কি উপকার করে?
🔘 ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
🔘 হৃদরোগ প্রতিরোধ করেঃ এন্টিঅক্সিডেন্ট LDL (খারাপ) কোলেস্টেরলের অক্সিডেশন রোধ করতে সাহায্য করতে পারে, যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
🔘 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
🔘 কোষের ক্ষতি রোধ করেঃ ফ্রি র্যাডিকেল হল অস্থিতিশীল পরমাণু বা অণু যা কোষের ক্ষতি করতে পারে।
এন্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেলের সাথে বিক্রিয়া করে কোষের ক্ষতি রোধ করে।
🔘 ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষের ক্ষতি রোধ করে।
এটি ত্বকের বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বককে উজ্জ্বল ও সুন্দর রাখে।
🔘 চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ এন্টিঅক্সিডেন্ট চোখের কোষের ক্ষতি রোধ করে।
এটি ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
🔘 মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ এন্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি রোধ করে।
এটি স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞানশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
🔘 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ এন্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এটি ডায়াবেটিসের জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
🔘 ক্লান্তি দূর করেঃ এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে শক্তির উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
এটি ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
🔘 হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ এন্টিঅক্সিডেন্ট হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।
এটি অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কি এবং কি পরিমান এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে?
ত্বীন ফল
এন্টিঅক্সিডেন্টঃ ত্বীন ফলে রয়েছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোস্টেট এবং জরায়ু ক্যান্সারের প্রতিষেধক হচ্ছে ঔষধি ফল তীন। ব্লাড প্রেসার এবং স্নায়ুরোগ কমাতে এটি দারুণ কার্যকর।
এন্টিঅক্সিডেন্টের পরিমানঃ একটি ত্বীন ফলে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি অন্যান্য ফলের তুলনায় বেশি
জাফরান
এন্টিঅক্সিডেন্টঃ জাফরানে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে মুক্ত রাডিকেলের (অণু যা আমাদের শরীরে কোষের ক্ষতি করতে পারে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।) ক্ষতিকারক প্রভাব কে রোধ করে বা কমিয়ে দেয়।
এন্টিঅক্সিডেন্টের পরিমানঃ জাফরানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন জাফরানের প্রকার, উৎপত্তি এবং সংগ্রহের সময়। গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতি গ্রাম জাফরানে ৩০ থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
মধু
এন্টিঅক্সিডেন্টঃ মধুতে ফেনোলিক অ্যাসিড ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা সুস্বাস্থ্যে সহায়ক হতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
এন্টিঅক্সিডেন্টের পরিমানঃ মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমান নির্ভর করে মধুর ধরণ, উৎস, এবং সংগ্রহের সময়ের উপর।
তবে, গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতি ১০০ গ্রাম মধুতে ১৫০-২০০ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
জয়তুন
এন্টিঅক্সিডেন্টঃ জয়তুনে বেশ কয়েকটি এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যেমন- হাইড্রোক্সিটাইরোসল, টাইরোসল, ওলিউরোপিন, ক্যাফেইক অ্যাসিড, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, স্কোয়ালিন ও লিগন্যান ইত্যাদি। যা হৃদরোগ, ক্যান্সার, আলঝেইমার, ত্বকের কোষের ক্ষতি এবং চোখের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
এন্টিঅক্সিডেন্টের পরিমানঃ জয়তুনে এন্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বিভিন্ন জাতের জয়তুন, তেল বের করার পদ্ধতি এবং তেল সংরক্ষণের পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। তবে, গড়ে প্রতি ১০০ গ্রাম জয়তুনের তেলে ২০০-৩০০ মিলিগ্রাম এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।